পূজা মণ্ডপের অনুষ্ঠানে ইসলামি সঙ্গীত, ফেসবুকে  সমালোচনা

পূজা মণ্ডপের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসলামি সঙ্গীত পরিবেশন করছেন একদল শিল্পী। আর সামনের চেয়ারে বসে শ্রোতারা সেটি উপভোগ করছেন। ৫১ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে জে এম সেন হলে সনাতন ধর্মীদের পূজা মণ্ডপের মঞ্চে ইসলামি সঙ্গীত গেয়েছেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির একদল শিল্পী। এ ঘটনার যথাযথ শাস্তি চেয়ে নেটিজেনরা বলছেন, মুসলিম হিসেবে বিব্রতবোধ করছি আমরা। এ ঘটনায় জড়িতরা যে দলেরই হোক না কেন, শাস্তি হওয়া উচিত।

এ ঘটনার সঙ্গে শিবির সমর্থিত শিল্পীরা জড়িত বলে অনেকেই দাবি করছেন। আবার অনেকে বলছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ভয়েস এডিটিং করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে সাকলাইন খুরশিদ প্রথমে ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ইফতার প্রোগ্রামে এসে কেউ কীর্তন গেয়ে গেলে নিতে পারবেন? এই যে অন্য ধর্মাবলম্বীদের কে যে ট্রমা এর মধ্যে ফেলছি সেটা তাদের জুতায় পা দিয়ে দেখেন।

ভিডিওটি শেয়ার করে সাবেক ছাত্রদল নেতা মামুন খান লিখেছেন, চট্টগ্রামে জে এম সেন হলে সনাতন ধর্মীদের পূজা মণ্ডপে একটা গ্রুপ ইসলামি গান গেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে! আমি একজন মুসলিম হিসেবে বিব্রতবোধ করছি। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালোনা। আচ্ছা, মুসলমানের ঈদের নামাজ, ইফতার মাহফিল, জুমার নামাজ বা ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কীর্তন হলে সেটা কিভাবে নিবেন?

বিষয়ে মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, “এই গানের দলের সঙ্গে জামায়াতের কোনও সম্পর্ক নেই। গান করার সময় জামায়াতের কেউ অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেন না।”

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তিনি বলেন, “যদি অভিযোগ আসে, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন তরুণ মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করছেন। ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন।

অধ্যাপক সুমন রহমান জানিয়েছেন, ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়েছে এবং এটি আসল বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।